কুবের যখন পরিক্ষার্থী

কুবের এবার ইন্টার মিডিয়েট পরিক্ষার্থী। কিন্তু তাকে দেখলে মনে হবে, সামনে তার জন্য পরিক্ষা নয় কোন সুন্দরী ললনা প্রেম প্রস্তাব নিয়ে অপেক্ষা করছে।
রাতদিন তার সঙ্গী ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসএপ আর লুডুস্টারের ললনারা বা তথাকথিত ফেক আইডিগুলো ।
ফেসবুকে মেয়েদের প্রোফাইল দেখে সে মেসেজে বিভিন্ন ফলের ছবি পাঠায়। এমন সব ফলের ছবি পাঠায় যা দেখিলে ফল বিক্রেতারাও ভিমড়ি খাবে।



যাহোক, যেসব ললনারা তাকে বুঝে বা না বুঝে রিপ্লাই আর দেয় কুবের চোখ কান খোলা রেখে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে লিচু বিনিময় করতে। আগেই বলেছিলাম সে খুব চালাক। সে খুব কৌশলে মেয়েদের সাথে মিশে সব কিছু জেনে নেয়। এরপর শুরু হয় তাদের দুর্বল জায়গা গুলো চিহ্নিত করে ব্ল্যাকমেইল করা।

তার ফাঁদে পড়ে হাজারও ভাল মেয়ে ধোকা খেয়েছে আর দুষ্টু মেয়েরা খেয়েছে ছ্যাঁকা।
তবে কুবেরের একটা রুটিন আছে, সে কখনো কোন মেয়ের সাথে তিন মাসের বেশি রিলেশনশিপ রাখেনা। আর এক দিনে পাঁচ জনের বেশি মেয়েকে সে টাইম দেয়না।
কিন্তু তা সত্বেও মাঝে মাঝে সে বড় একা হয়ে যায়। তখন তার প্রতিবেশি সহপাঠিনী কপিলার কাছে যায়।
উঁহু, অন্য উদ্দ্যেশে নয়! টাকা ধার চাইতে। এই টাকায় সে সিদ্ধিলাভ করবে। কপিলাও জানে সে কি জন্য টাকা চায়। কিন্তু তবুও সে দেয় কারন কুবেরের জন্য তার মনে আলাদা একটা টান আছে।



কিন্তু সামনে পরিক্ষা। কুবের ভালভাবেই জানে কেউ না দেখালে তার একার পক্ষে পাস করা সম্ভব নয়। তাই সে কপিলাকে প্রশ্ন অফার করে। কারন পরিক্ষায় কপিলার সিট পড়বে কুবেরের ঠিক পিছনেই।
প্রশ্নফাঁস হবে এটা এখন মাতৃগর্ভে থাকা বাচ্চাও বিশ্বাস করে।
আর এই বিশ্বাসেই কুবের কপিলাকে প্রশ্ন এনে দিবে বলে জড়িয়ে ধরে, কপিলা না বলতে পারেনা। সেও জড়িয়ে নেয় কুবের কে, এখানে যে দুজনের স্বার্থই জড়িত।


একুশ শতকে কুবের মাঝি
(চলবে...)
Previous
Next Post »

আপনি কি কুবের কে কিছু বলতে চান? তাহলে সেটা মন্তব্য করে ফেলুন এখনি! EmoticonEmoticon